প্রায় তিন মাস শূন্য ছিল শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটি। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর আজ নতুন পরিচালক দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ডা: মো: হাবিবুর রহমান (বুলবুল)। ডা: মো: হাবিবুর রহমান কিশোরগঞ্জ জেলায় এর আগে সিভিল সার্জন পদে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) দুপুরে দায়িত্ব গ্রহণের পর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মো: নজরুল ইসলাম, হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডা: মো: এহসানুল হক মুকুল, জেলা বিএমএ সভাপতি ডা: মো: মাহবুব ইকবাল, জেলা সাচিপ সভাপতি ডা: দ্বীন মোহাম্মদ, সিভিল সার্জন ডা: মো: মুজিবুর রহমান, কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: মো: হেলাল উদ্দিন, জেলা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: ওয়াহাব বাদল’সহ হাসপাতাল ও কলেজের একাধিক ডাক্তারবৃন্দ।
জানা যায়, পরিচালক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার পর আজ হঠাৎ করেই তিনি তার দায়িত্বভার গ্রহণ করার জন্য প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে মেডিকেল কলেজে উপস্থিত হন। কিন্তু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় ১৩০ জন ডাক্তার থাকার পরও দায়িত্বভার গ্রহণ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলামের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় মাত্র ১০/১৫ জন ডাক্তার উপস্থিত ছিলেন। ছয় জন সিনিয়র কনসালটেন্ট এর মধ্যে উপস্থিত ছিল মাত্র দুই জন। এতে অনেকেই হতাশ হয়েছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ২টা পর্যন্ত হাসপাতাল ও কলেজে ডাক্তারদের দায়িত্ব থাকলেও অনেকেই ১২টার পরেই কর্মস্থল ত্যাগ করে প্রাইভেট ক্লিনিকে চেম্বার করেন। এজন্য আজকের মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনেও তারা উপস্থিত থাকতে পারেন নি।
দায়িত্ব গ্রহণের পর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা: মো: হাবিবুর রহমান বুলবুল জানান, আমি যেন আমার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারি এজন্য ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে জড়িত সকলের সাহায্য ও সহযোগিতা চেয়েছি।
এই কর্মস্থলেও যারা কর্মরত আছেন তারাও যেন সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন সেজন্য সকলের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন। দায়িত্বে অবহেলা করলে কাউকে ছাড় দিবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, করোনার শুরু থেকে হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, রোগীদের খাবারের মান, আউটসোর্সিং কর্মীদের বেতন ও ডাক্তারদের কাজে অবহেলার জন্য সাধারণ মানুষ সোস্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে বহুদিন ধরে। এর মধ্যে প্রায় তিন মাস ধরে পরিচালক ও সহকারি পরিচালকের মতো পদ শূন্য থাকা, সম্প্রতি করোনা পরীক্ষার পিসিআর মেশিন নষ্ট থাকা ও নতুন পরিচালক নিয়োগের বিষয়টির দিকে চোখ পড়ে আছে কিশোরগঞ্জ জেলাবাসীর।
কিশোরগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা, নতুন পরিচালক নিয়োগের পর সমস্যাগুলো খুব দ্রুত সমাধান হবে, সাধারণ মানুষ সেবা পাবে এবং দালাল মুক্ত থাকবে হাসপাতাল।
Leave a Reply