কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ৯৩ টি কেন্দ্র ও কুলিয়ারচরের স্থগিত একটি (নারান্দি ইউনিয়ন) ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ইভিএমে স্বল্প সময়ে স্বস্তিতে ভোট দিয়ে বেশিরভাগ ভোটার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে কিছু বয়স্ক ভোটার ‘ঝামেলার’ কথাও বলেছেন।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুই উপজেলায় একযোগে ইভিএমে ভোট হয়েছে। এখন চলছে গণনা। সকালে পাকুন্দিয়া উপজেলার চরপলাশ কেন্দ্রে ভোটারদের এমন মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়। এসময় আশপাশের আরও কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চরপলাশ কেন্দ্রে ৮১ বছর বয়সী ইমাম হোসেন জানান, আমার অনেক বয়স হয়েছে হয়তো এটাই জীবনের শেষ ভোট। তাই ভোট দিতে এসেছি। সহজে কম সময়ে ভোট দিতে পেরে ভালো লাগছে।
পাকুন্দিয়ার কুশাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ইভিএম এ ভোট দিতে পারছিলেন না শত বয়সী বৃদ্ধা মরিয়ম আক্তার। শেষে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো: রেজাউল করিম এর সহযোগিতায় ভোট দিতে পেরে খুশি হয়েছেন তিনি। বৃদ্ধা মরিয়ম আক্তার জানান, এটা একটা জাদুকরী মেশিনের মতো। টিপ দিলেই নাকি ভোট হয়ে যায়। কিন্তু কিভাবে কোথায় চাপ দিয়ে ভোট দিতে হয় সেটা তিনি জানতেন না। তাই তিনি সহযোগিতা নিয়েছেন।
কৃষক মকবুল হোসেন জানান, কৃষি কাজ করে করে হাতের আঙুলের অবস্থা শেষ। তাই ভোট দেয়ার সময় আঙুলের চাপ মেলানো অনেক হয়েছে। তবে নতুন ভোটারদের মধ্যে সহজে ভোট দিয়ে আনন্দ উপভোগ করতে দেখা গেছে।
অন্যদিকে নারান্দি ইউনিয়ন পরিষদ কেন্দ্রের একটি বুথে সকালে ইভিএম মেশিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেক সময় বন্ধ ছিল একটি বুথ।
বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধীদের সাথে যখন সহযোগিতা করার জন্য কেউ নিয়ে যায় তখন কেন্দ্রের বাহির থেকে এনিয়ে অনেক অভিযোগ লক্ষ্য করা যায়। এ বিষয় বিভিন্ন কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কেউ যদি নিজের মতো প্রতীক পছন্দ করে ভোট দিতে না পারেন তাহলে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত অন্য কারো সহযোগিতা নেওয়ার সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে তিনি হয়ত আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতা নিতে পারেন।
Leave a Reply