কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মামুনুল হকের সমর্থকদের হামলায় কুলিয়ারচর থানার পুলিশ ও সাংবাদিক সহ কমপক্ষে ৭/৮ জন আহত হয়েছে।
সোনারগাঁও রয়েল রিসোর্ট থেকে নারী সহ মামুনুল হক জনতার হাতে আটকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুলিয়ারচরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কুলিয়ারচরের উছমানপুর ইউনিয়নের নাজিরদীঘি ও পৌর শহরের বড়খারচর এবং পূর্ব গাইলকাটা ও আশপাশ এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল কুলিয়ারচর বাজার প্রবেশ করে। মিছিলটি কুলিয়ারচর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে কুলিয়ারচর থানা ক্রস করার সময় পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকে। এরপর মিছিলটি কিছুদূর কুলিয়ারচর শপিং কমপ্লেক্সের সামনে গেলে, মামুনুল হকের সমর্থকদের অপর একটি মিছিল লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র’সহ পূর্বের মিছিলে যুক্ত হয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান’সহ ইটপাটকেল ছুঁড়ে। পরে পুলিশও একপর্যায়ে তাদের দাওয়া করলে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হতে থাকে। এই সময় পুলিশকে উদ্দেশ্য করে তারা ইটপাটকেল ছুঁড়ে। এভাবে রাত ১০ টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত পুলিশের সাথে দাওয়াপাল্টা দাওয়া চলে।
একপর্যায়ে বিক্ষোভকারিরা পিছু হটে উপজেলা চত্বরে গিয়ে কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে (কোয়াটার) ইটপাটকেল ছুঁড়ে ভাঙচুর করে এবং মহারাজ ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তীর পাঠাগারের জানালা ও সরকারি হসপিটালের সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে তারা। এই সময় পুলিশ সাংবাদিকসহ ইটপাটকেলের আঘাতে অনেকে আহত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এসময় পুরো ঘটনায় পুলিশের সাথে থেকে কুলিয়ারচর ইমাম ওলামা পরিষদের সভাপতি ইলিয়াস মাহমুদ কাসেমীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এই ঘটনায় কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ঘটনার পর ভৈরব সার্কেল পুলিশ রেজুয়ান দীপু ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তাহিয়াত আহমেদ চৌধুরী বিশেষ ফোর্স কুলিয়ারচর থানায় অবস্থান করে।
এই বিষয়ে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি একেএম সুলতান মাহমুদ বলেন, ঘটনার সাথে যারা জড়িত আমরা ভিডিও দেখে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply