দিলীপ কুমার সাহা:
গত রবিবার (৩ মার্চ ) বিকেলে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রী। সে নিকলী শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী এবং উপজেলা সদর ইউনিয়নের মোহরকোনা গ্রামের সুরুজ আলীর মেয়ে।
উপজেলা প্রসাশন সূত্র জানান, রোববার দুপুরে নিকলী শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন করা হয়। দুপুরের পর বর আসছে। গোপন সূত্রে খবর নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম মুছাম্মৎ শামীমা আক্তার।
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামসুর নাহার তাসমিন, স্থানীয় সরকার বিভাগের ইউ ডি এফ দূর্গা রানী সাহা ও থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ইউএনও উপস্থিত হন উপজেলা সদরের মোহরকোনা গ্রামে ওই ছাত্রীর বাড়িতে। ছাত্রীর বাবাকে ডেকে এনে এ বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম মুছাম্মৎ শামীমা আক্তার বাল্যবিয়ের কবল থেকে রক্ষা করেন সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া ছাত্রীটিকে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টার দায়ে ছাত্রীটির বাবা সুরুজ মিয়াকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এবং ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবেনা মর্মে মুছেলেখা নেন। খবর পেয়ে বর পক্ষ আর বিয়ে করতে আসেনি।
নিকলী শহীদ স্মরণিকা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাফি উদ্দিন জানান, সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীর বিয়ের খবর পাওয়ামাত্রই ইউএনও স্যারকে জানাই। নিজেও উপস্থিত থাকি। নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী হাকিম মুছাম্মৎ শামীমা আক্তার বলেন, আশা করছি এমন পদক্ষেপে এ উপজেলায় বাল্যবিয়ে শূণ্য কোটায় নেমে আসবে।