বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪৯ পূর্বাহ্ন

নোটিশ :
আমাদের নিউজ সাইটে খবর প্রকাশের জন্য আপনার লিখা (তথ্য, ছবি ও ভিডিও) মেইল করুন onenewsdesk@gmail.com এই মেইলে।
সর্বশেষ খবর :
আগামীকাল তাড়াইল উপজেলার বহুল প্রতিক্ষীত বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন লক্ষাধিক নতুন রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ জাতিসংঘের ‘ব্যক্তিগতভাবে এনসিপির সঙ্গে আমার কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই’ – উমামা ফাতেমা শতাধিক সৌদি প্রবাসীকে দেশে ফেরত নিকলীর হাওরের ৮১ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে, শংঙ্কা কমেছে কৃষকের নকশাবহির্ভূত সব রেস্টুরেন্টের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল মাত্র ১২ বছর বয়সেই আলিফের কাঁধে সংসারের ভার তাড়াইলে শতাধিক বছরের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ঝুঁকিপূর্ণ দেওয়াল নির্মাণ এপ্রিলেই দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া হোসেনপুরে ২৭ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই; অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় বেহাল দশা

নিকলীর হাওরে পোনা ছাড়ে সরকারে লাভ হয় ইজারাদার ও জেলেদের

দিলীপ কুমার সাহা
  • আপডেট সময় বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ৭১৬ বার পড়া হয়েছে

আষার-শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল চারদিকে থৈ-থে পানি। এ সময় নিকলী উপজেলা মৎস্য বিভাগ হাওরে অবমুক্ত করে না মাছের পোনা। অবমুক্ত করে এর দুই মাস পর হাওর-বাঁওড় , নদী নালার পানিতে শুরু হয় ভাটার টান। তখন নিকলীর হাওরের বিভিন্ন নদীতে মৎস্য বিভাগের অবমুক্ত করা মাছের পোনা বড় হওয়ার সময় থাকে না। অন্যদিকে অবমুক্ত করা পোনা মাছগুলোর হাওরের জেলেদের জালে ও বিলগুলোতে আটকা পড়ে। এতে করে জেলে ও বিলের ইজারাদাররেরা লাভবান হচ্ছেন। সাধারণ মানুষ সরকারের মৎস্য বিভাগের পোনা অবমুক্তির কোনো সুফল পাচ্ছেন না।

বিলের ইজারাপ্রথা বাতিল করে বর্ষা শুরুর আগেই বিল নার্সারির মাধ্যমে পোনা অবমুক্ত করা গেলে হাওরে মাছের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পেত। তেমনি সাধারণ মানুষ সরকারি পোনা অবমুক্তির সুফল ভোগ করতে পারতেন।

নিকলী মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে , নিকলী মৎস্য বিভাগ ২৬ আগষ্ট নিকলীর ঘোড়াউত্রা, ধনু, সোয়াইজনী, নরসুন্দা ও পুড্ডা নদী ও বিভিন্ন হাওর ও বিলে প্রায় দুই লাখ টাকার রুই , কাতলা, মৃগেল, কার্পো, মিনারর্কাপ, সিলভার কাপ, সেরনপুটি, গনিয়া, কালবাউস ও ঘাসর্কাপ জাতের দুই হাজার কেজি পোনা অবমুক্ত করেছে। এ ছাড়া আগামী আগষ্ট মাসে অর্থ বরাদ্দ পেলে আরো ৪৫০ কেজি পোনা ছাড়া হবে।

পশ্চিম কেশবপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি রাম প্রসাদ দাস জানান, এখন পানির টানের সময় সরকার ওই পোনা ছাড়ার ফলে এর সফলতা সাধারণ মানুষ ভোগ করতে পারেন না। আগষ্ট মাসে পোনা ছাড়ার একমাস পর সেপ্টেম্বর থেকেই হাওর ও নদীতে পানি কমতে থাকে। কিন্ত এর আগেই পোনাগুলো জেলেদের জালে আটকা পড়ে যায়। অন্যদিকে পানি শুকিয়ে বিভিন্ন বিলে সীমিত হয়ে পড়ে। এ সময় বিলগুলোতে আটকা পড়ে ওই মাস। এসব বিলের মালিকরাও ইজারাদার। তারা সরকারের নিকট থেকে ওইসব বিল ইজারা নিয়ে থাকেন। এতে সরকার টাকা খরচ করে হাওরে পোনা ছাড়ে কিন্ত লাভ হয় ইজারাদারদের। তিনি একটি প্রবাদ বাক্য বলেন সরকারকার মাল দরিয়া দে দেয় মে ডাল।

নাম প্রকাশ না কারার শর্তে জেলা জল মহল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য বলেন, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে পোনা ছাড়লে সাধারণ মানুষ লাভবান হতো। তখন হাওরে পানি থাকে না। এখন চারদিকে থৈ-থৈ পানি হাওরে জেলেদের জালে ধরা পড়ে যাচ্ছে এসব পোনা। সেপ্টেম্ভর মাস থেকেই হাওরের পানি কমতে থাকে তখন মাছগুলো বিলের মধ্যে আটকা পড়বে। এতে জেলে ও ইজারাদারই লাভবান হচ্ছেন। কিন্ত মৎস্য বিভাগকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলে, বাজেট বরাদ্দ, টাকা পাওয়া এবং দরপত্রের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুলাই – আগষ্ট মাসের আগে পোনা ছাড়া নাকি তাদের পক্ষে সম্ভব হয়না।

নিকলী উপজেলা মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, বাজেট পেতে অনেক দেরি হয়ে যায়। আগেভাগে বাজেট পেলেও সে সময় চার ইঞ্চির ওপরের পোনা পাওয়া যায় না। এ জন্য বিল নার্সারির বিকল্প নেই। বিল নার্সারি হলে বৈশাখ মাসে পোনার রেনু এনে বিল-নার্সারিতে চাষ করে চার ইঞ্চি পরিমাণ পোনা হলে বর্ষার একেবারে শুরুতেই ওই পোনা হাওরে ছাড়া যাবে। এতে মাছ বড় হবে। উৎপাদন বেড়ে যাবে। তবে দেরিতে ছাড়লেও জেলেরা যাথে নদী থেকে মাছ ধরতে না পারেন, এ জন্য মৎস্য বিভাগ সতর্ক আছে। মাঝে-মাঝে হাওরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

Tahmina Dental Care

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর

© All rights reserved © 2025 Onenews24bd.Com
Site design by Le Joe