চট্টগ্রামের পটিয়ায় ১০০ টাকার জন্য মো. মাঈন উদ্দিন নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে খুন করা হয়েছে। এঘটনায় অভিযুক্ত মারুফ হোসেনকে (১৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খুনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মারুফ হোসেন। এর আগে মঙ্গলবার রাতে হাবিলাসদ্বীপ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহত কিশোর মো. মাঈন উদ্দিন (১৮) পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাদারপাড়া এলাকায় দিল মোহাম্মদের প্রথম ছেলে। সে পটিয়া শাহচান্দ আউলিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ২০২৩ সালে দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরীক্ষার রেজাল্টটা দেখে যেতে পারেনি।

গ্রেপ্তার মারুফ উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল সাদার পাড়া এলাকার মো. সেলিম উদ্দিনের পুত্র।

জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে সাড় ১০টার দিকে উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের ২ নাম্বার ওয়ার্ডের সাদার পাড়া এলাকার বাড়ির পূর্ব পাশে পুকুর পাড়ে কিশোর মাঈন উদ্দিনকে কিল ঘুষি মেরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার জন্য নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একই এলাকার সেলিম উদ্দীনের ছেলে মো. মারুফ হোসেন, তার ভাই মাহফুজ, মা মিনু আকতার ও দাদী মনোয়ারা বেগমকে দায়ী করা হচ্ছে।

নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাঈন উদ্দিন ঘর থেকে বের হওয়ার পর মারুফ ও তার বড় ভাই মাহফুজ তাকে পথরোধ করে। এরপর এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এসময় একপর্যায়ে মারুফ মাঈন উদ্দীনকে অন্ডকোষে লাথি দিলে সাথে সাথে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। খবর পেয়ে মাঈন উদ্দীনের বাবা মা ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এদিকে নিহত মাঈন উদ্দিনের লাশ চমেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে জানাজা শেষে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাবা দিল মোহাম্মদ।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রিটন সরকার বলেন, মাঈন উদ্দিন নামে এক মাদ্রাসাছাত্রকে ১০০ টাকার জন্য খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মারুফ হোসেনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মারুফকে বুধবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে খুনে জড়িত থাকার কথা সে স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।