র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ও র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ সদর ক্যাম্প কর্তৃক যৌথ অভিযানে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার ছয় (৬) বছরের শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী রাজিবকে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
র্যাব এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত মাসের ১০ আগস্ট বাদীনীর ছোট ভাই এবং বাদীনীর দুঃসম্পর্কের চাচাতো ভাই রাজিব (১৯) ময়মনসিংহ জেলা থেকে চাকরির খোজে নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লায় আসে। রাজিব ভিকটিমের বাড়িতে থেকেই চাকরির জন্য চেষ্টা করছিল। ভিকটিমের বাবা ও মা উভয়ই চাকুরিজীবি হওয়ায় প্রতিদিনের মত গত ১৪ আগস্ট ২০২২খ্রি. তারিখ নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে গমন করেন। তখন বাসায় তার দুই ছোট শিশু ও রাজিব অবস্থান করছিল। ঐ দিন বিকাল আনুমানিক বিকেলে ৫ ঘটিকার সময় ভিকটিমের মা বাসায় আসলে ভিকটিম (০৬) কে কান্নারত অবস্থায় পায়। কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলে ভিকটিম তার মাকে বলে আনুমানিক বেলা ১২ ঘটিকার দিকে মামা মজা কিনে দিয়ে ঘরের মধ্যে আটকে পরনের কাপড় খুলে খারাপ কাজ করে এবং এই কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে বাসা থেকে চলে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা তার গোপনাঙ্গ চেক করলে ধর্ষণের আলামত পান। ঘটনার পর ভিকটিমের পরিবার নারায়ণগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহে চলে যান। বাড়িতে আসার পরপরই ভিকটিম শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ২১ আগস্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এ ভর্তি করে এবং ২৫ আগস্ট হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়পত্র প্রদান করে।
পরবর্তীতে গত মাসের ২৭ আগস্ট ভিকটিমের মা নিজে বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) এর ৯ (১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত ঘটনার পরপরই উক্ত আসামীকে আটকের জন্য র্যাব গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং আসামীকে ধরতে জোর প্রচেষ্টা চালায়। উক্ত আসামী গ্রেফতার এড়াতে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াতে থাকে। সর্বশেষ কিশোরগঞ্জ জেলায় তার অবস্থান নিশ্চিত করে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অদ্য ৪ সেপ্টেম্বর ২০২২খ্রি. তারিখ গভীর রাতে র্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ শাহরিয়ার মাহমুদ খান ও র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জ সদর ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়কের এর নেতৃত্বে একটি চৌকশ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামী রাজিব (১৯), পিতা-মজিবর রহমান, সাং-কুটারকান্দা ৭নং ওয়ার্ড, থানা-ফুলপুর, জেলা-ময়মনসিংহ’কে কিশোরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প এর উপ-পরিচালক কোম্পানী কমান্ডার মেজর শাহরিয়ার মাহমুদ খান জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
Leave a Reply